< একটুকু আশার আলো

“একটুকু আশার আলো”

[ দৃশ্যঃ- বিকাল (৪;২০) মিস্টার জামালি তার অফিস এ কিছু কলিগদের সাথে পার্টিতে ব্যাস্ত। হঠাৎ পিছন থেকে মিস্টার আল আমিন হাতের গ্লাসটিতে চামচ দিয়ে ঠং করে দুটো টোকা দিয়ে বলে উঠলেন] আল আমিনঃ সবার দৃষ্টি আকর্ষন করছি {ঠং,ঠং} জামালি ভাই বাবা হতে চলেছেন এবং সেই উপলক্ষে আজ এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছে আশা করি পার্টিটা আপনাদের ভাআলো লেগেছে। কিন্তু একটা জিনিস এখন ও জানা বাকি সেটা হলো { আল আমিন মিস্টার জামালির দিকে তাকিয়ে } ছেলে না মেয়ে । { জামালি হাত থেকে গ্লাসটি নামিয়ে সবার দিকে একবার তাকালেন }

মিস্টার জামালিঃ এতা আরো আগে জানানো উচিত ছিলো আমার কিন্তু বলা হয়ে উঠেনি ,মেয়ের বাবা হতে চলেছি আমি।

[ দৃশ্যঃ বাকিরা একে একে মিস্টার জামালি কে শুভেচ্ছা জানালেন। কিছুক্ষন পর পার্টি শেষ হলো ঠিক তখন ই তার কাছে একটি কল আশে হাসপাতাল থেকে জামালি তৎক্ষণাৎ ফোন ধরে ] মিস্টার জামালিঃ হ্যালো ডক্টh2 ।

ডক্টর সানজিদঃ হ্যা মিস্টার জামালি । আপনি যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতাল এ চলে আসুন আপনার স্ত্রির ইম্মিডিয়েট অপারেশন করাতে হবে। {এ খবর শুনবার পর জামালি তৎক্ষণাৎ আল আমিন এর কাছে ছুটে গেলো}

মিস্টার জামালিঃ আল আমিন আমাকে এখন ই যেতে হবে হাস্পাতাল থেকে কল এসেছিল তোমার ভাবির অপারেশন আজকেই হতে চলেছে তো আমাকে এখন এ যেতে হবে সবাইকে একটু জানিয়ে দিও।

[দৃশ্যঃ একে অপর কে আলিঙ্গন করার পর জামালি অফিস থেকে বের হয়ে জান। গাড়ি স্টার্ট করে বসতেই কেমন যেন একটু অশ্বস্তি অনুভব করলেন কিছু না ভেবেই গাড়ি চালাতে লাগলেন যেতে যেতে অনেক রাত হয়ে যাবে পানির বোতল টা হাতে নিয়ে কি মনে হলো আবার রেখে দিলেন। হঠাৎ একটা ফোন আসল । (৮;৩৫ বাজে)]

বিশ্বজিতঃ হ্যালো জামালি ভাইয়া আপনি কি চলে গিয়েছেন রাজ ভাইয়া আপনাকে খুজছিলো ।

জামালিঃ হ্যা রে বিশ্ব আমি তো চলে এসেছি কেনো আল আমিন বলেনি তোদের আমি তো ওকে বলে আসলাম সবাইকে জানিয়ে দিতে।

বিশ্বজিতঃ কই না তো আমাকে তো কিছুই বলেনি ঠিক আছে ভাইয়া আমি রাজ ভাইয়া কে জানিয়ে দিব সাবধানে জান।

[দৃশ্যঃ জামালি হাত থেকে ফোন নামিয়ে এবার পানির বোতলটির থেকে একটু পানি খেলো । রাত অনেক হয়ে জাচ্ছে মাঝরাস্তায় জ্যাম এ পড়ার কারোনে অনেক দেড়ি হয়ে যাবে (১১;৪৫ বাজে) রাস্তা ফাকাই ছিলো হঠাৎ গাড়ির লাইট টা ম্যালফাংশন করা শূরু করলো কিছুক্ষন ধাপ পারার পর আবার স্টেবল হলো আরো কিছুক্ষন জাওয়ার পর সে ফোনটি হাতে নিলো বাড়িতে কল করার জন্য।]

জামালিঃ হ্যালো হ্যা ফারেসি কথায় রে তোরা তোরা কি পৌছেছিস।

ফারেসিঃ হ্যা রে আমরা তো পৌছেছি তোর কি খবর আর কত দেড়ি হবে ভাবি কে তো অপারেশান থিয়েটার এ নিয়ে গিয়েছে।

জামালিঃ হ্যা রে আর বলিস না রাস্তায় জ্যাম এ পড়েছিলাম অইখানেই দেড়ি হয়ে গেলো আর বেশিক্ষন লাগবেনা । {হ্যালো হ্যালো} { নেটওয়ার্ক সমস্যার কারন এ কথা কেটে কেটে যাচ্ছে }

ফারেসিঃ হ্যালো মনে হয় নেটওয়ার্ক সমস্যা রে তোর কথা বুঝা জাচ্ছেনা । {হঠাৎ কল কেটে গেলো}

[দৃশ্যঃ ফোন পাশের সিট এ ঢেল দিয়ে রেখে সামনে তাকাতেই জামালি দেখতে পেলো দুইজন মাঝ রাস্তায় দাড়িয়ে । কষে ব্রেক টেনে একটুর জন্য তাদের কে গাড়ির নিচে পিশে জাওয়ার থেকে বাচিয়ে জামালি হাফ ছেড়ে বাচলো। তারপর লক্ষ করল যে একটি মহিলা বয়স হয়ত (৩০-৩৫) হবে পড়নে সাদা শাড়ি হাতে কিছু একটা ধরে আছে গাড়ি থামা দেখে মেয়েটা দৌড়ে দড়জার কাছে এসে হাউকাউ শুরু করে দিলো।

মেয়েঃ বাবু , বাবু একটু সাহায্য করেন বাবু । {একহাত দিয়ে জামালির এক হাত জাপটে ধরলো। জামালি হাতটা হ্যাচকা টান দিয়ে মেয়েটির মুখের দিকে তাকালো ঘুটঘুটে অন্ধকারের মাঝে মেয়েটির মুখ যেনো দেখাই জায়না আবছা আবছা যেটুকু দেখা জাচ্ছিলো তা দেখে আন্দাজ করা জায় মেয়েটির গায়ের রং শ্যামলা মুখখানা ফ্যাকাশে হাতে সে যে জিনিসটা ধরে ছিলো সেটা একটা বাচ্চা হয়ত কয়েক মাস হবে । জামালি মেয়েটির দিকে একবার চাইল তারপর বলে উঠল]

জামালিঃ কি হয়েছে আপনার এতো রাতে এই জায়গায় একা একা কি করছেন কোথায় জাবেন আপনি।

মেয়েঃ বাবু গো আমারে একটু চন্দারমোড় এ নামাইয়া দিবেন বাবু মোর মাইয়াডার খুব অসুখ মইরা জাইবো বাবু । {জামালি আরেকবার মেয়েটির দিকে তারপর কাপড় এ পেচানো বাচ্চাটার দিকে একবার তাকালো না আছে কোনো আওয়াজ না আছে কোনো নড়াচড়া বাচ্চাটা কি আদৌ বেচে আছে তা না দেখে সে পিছের দড়জাটা খুলে দিলো মেয়েটি উঠে বসল।}

[দৃশ্যঃ বেশ কিছুদুর জাওয়ার পর । জামালি মেয়েটিকে জিজ্ঞ্যাসা করল যে তার বাসায় কেও নেই এতো রাতে একা একা বাচ্চাকে নিয়ে কি কোথাও জাচ্ছিলো তার স্বামী কোথায়। এটা জিজ্ঞ্যাসা করার পর জামালি একবার ফ্রন্ট গ্লাস এর দিকে তাকাতেই চমকে উঠল মেয়েটি নেই তৎক্ষণাৎ পিছে ফিরে তাকাতেই দেখে মেয়েটি অইখানেই বসা আবার গ্লাসের দিকে তাকাতে দেখে এবার গ্লাস এ দেখা জাচ্ছে মেয়েটিকে। হয়ত ভুল দেখেছে । অনেক সময় হয়ে গেলো কিন্তু কেনো যেনো মনে হচ্ছে যে রাস্তার শেষ নেই ঘড়ির দিকে তাকাতে চমকে উঠল জামালি (১;২০ বাজে)। ফোন টি হাতে নিতে যাবে গাড়ি চালানো অবস্থায় সে পাশের সিট এ হাত দিতে হাত যেনো সিট এ না পরে কিসের উপর পড়ল টের না পেয়ে জামালি পাশে তাকাতেই চমকে ঊঠল । মেয়েটা তার পাশের সিট এই বসা এবং এক দৃষ্টি তে তার দিকে তাকিয়ে আছে। জামালি হতচকিয়ে উঠে গাড়ির লাইট জালালো কিন্তু লাইট ও যেনো তার অবাদ্ধ্য হয়ে উঠেছে টিপটিপ করে জলছে যেনো কোনো এক হরর মুভির মতো অবস্থা। কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে ব্রেক কষতে গিয়ে আরেকবার ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো জামালি ব্রেক জেনো উধাউ । হঠাৎ মেয়েটি চিৎকার করে বলে উঠল ।]

মেয়েঃ বাবু দেখুন না আমার মেয়েটা কেমন চুপ্টী মেরে শূয়ে আছে মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে আর বোধহয় কান্নাকাটি করবেনা বাবু। [ বলতে বলতে সে একবার কোলে শিশূটির দিকে আবার জামালির দিকে তাকাচ্ছে ।]

জামালিঃ এসব কি । কোন ধরনের প্যাঙ্ক নাকি তুমি কি আমাদের অফিস কেও দেখি { জামালি হাত দিয়ে মুখথেকে ঘোমটাটা সরাতেই মেয়েটি যেনো ভ্যানিস হয়ে গেলো জামালি পিছে তাকাতেই দেখতে পেলো মেয়েটি পিছের সিট এ বসা হাত দিয়ে বাচ্চাটির শরির থেকে কাপড় একটু একটু করে খুলে ফেলছে। আর একটা বাজে পচা গন্ধ পুরা গাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ল গাড়ীর কন্ট্রল ধিরে ধিরে জামালির হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। একটূ পর জামালি যা দেখল তা দেখে আর বুঝতে বাকি রইলনা জে কিসের পাল্লায় পরেছে সে। মহিলাটি নড়খাদকদের মতো তার হাতের শিশুটিকে খাওয়া শুরু করেছে। এটা দেখে জামালি কি করবে কিছু ভেবে না পেয়ে দড়জা খুলার চেষ্টা করতে লাগল কিন্তু দরজা গুলো যেনো মড়ার মতো শিটকে লেগে গেছে। জামালি ঘুরে পাশে তাকাতেই দেখল মেয়েটি তার পাশেই বসা মুখ থেকে কি বীভৎস দুর্গন্ধ আর রক্ত গড়িয়ে পরছে একহাতে বাচ্চাটার আধাখাওয়া শরির তার থেকেও রক্ত অঝোরে বেরিয়ে জামালির পা ভিজিয়ে দিচ্ছে জামালি চোখদুটো এক মুহুর্তের জন্য বন্ধ করলো। মেয়েটি আস্তে করে পাশের সিট এ বসে বিড়বিড় করে কি সব বলতে লাগল। জামালি প্রথম এ কিছুই বুঝতে পারলোনা মেয়েটির দিকে তাকাতেই আবার চমকানোর পালা মেয়েটি ঠিক গাড়িতে উঠার আগে যেমন ছিলো তেমনটা হয়ে গেছে কোথাও রক্ত নেই একফোটা হাতে বাচ্চাটি ঠিক আগের মতো কাপড় এ মোড়ানো , হঠাৎ মেয়েটি বলে উঠল ]

মেয়েঃ বাবু মেয়ে কে দেখতে যাচ্ছেন বুঝি ? {কিছুক্ষন চুপ করে থাকার পর জামালি কি উত্তর দিবে না বুঝে হঠাৎ বলে উঠল}

জামালিঃ মেয়ে {জামালি যেনো সব হুশ হারিয়েছে মেয়ে শব্দটি শুন্তেই যেনো তার হুশ ফিরলো}। {মেয়েটি আবার কথা বলা শুরু করলো}

মেয়েঃ বাবু আমার নাম কমিলা চন্দারমোড় বাজারে ছিলো আমার বাড়ি যেখানে ছিলাম আমি আমার মেয়ে আর আমার স্বামী ৩ জন এর ছোট্ট সংসার । আপনি জানতে চাচ্ছিলেন না যে কি হয়েছে আমার স্বামীর সে কেনো আমাদের সাথে নেই মজার জিনিস টা হলো সে যে আমাদের সাথে নেই তার পিছে দোষটা তো আপনারই ।

জামালিঃ কি সব আজেবাজে বলছ তোমাকে তো আমি চিনিও না আর আমার কারোনে তোমার স্বামির মৃত্য হতে যাবে ক্যানো।

[দৃশ্যঃ গাড়ী চলছে সময় ও পার হচ্ছে তার নিজ গতিতে রাত বাজে (৩;৩০) গাড়ির মাঝে কথোপকথোন চলছে]

কমিলাঃ বাবু মাত্র কিছু টাকা ঋণ নেয়ার জন্য গতবছর আপনাদের অফিস এ গেছিলো আমার স্বামি। সংসার এর জাচ্ছেতাই অবস্থা না খেতে পেরে আমার বাচ্চাটার প্রান প্রায় জায় জায় একটুকু সাহায্য সেদিন আপনাদের কাছ থেকে পেলে আজ আমাদের এই অবস্থা হতোনা । আপনাদের মতো মানুষের জন্য আমাদের মতো মানুষের জীবন প্রদীপ ধুকে ধুকে নিভে জায় তাতে কি আপনাদের কিছু আসে জায় বাবু। সেদিন আপনারা আমার স্বামী কে সাহায্য না করে উলটো যা নয় তাই বলে অপমান করে তারিয়ে দিলেন সে যে আর বাড়ি ফিরে আসেনি বাবু এসেছিলো তার লাশ। অসুস্থ মেয়েটাকে নিয়ে কোথায় যাবো একলা কি করব ভাবতে ভাবতে জীবন এর মানেটাকেই হাড়িয়ে ফেলেছিলাম বাবু।

[দৃশ্যঃ হঠাৎ কথা বলতে বলতে মেয়েটার চোখ গুলো লাল রক্তিম হয়ে উঠল পুরো শরিরে পুড়ে জাওয়ার দাগ স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হতে লাগল মেয়েটি এক হাত দিয়ে জামালির গলা চিপে ধরল জামালির চোখ গেলো মেয়েটির কোলে থাকা বাচ্চাটির দিকে ও কি আস্ত নয় শুধু আধপোড়া একটা শিশুর দেহ চোক্ষুকোটোর ফাকা তা থেকে ধোয়া বেরিয়ে আসছে । গাড়ি ওভাবেই চলছে।]

কমিলাঃ ওইদিন রাতেই ঘরে আগুন দিয়ে মরেছি বাবু আহ কি কষ্ট বাচ্চা মেয়েটার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখদুটো কখন যে দেখার ক্ষমতা হারিয়েছে আর টের পাইনি।

[দৃশ্যঃ জামালি জ্ঞ্যান হারাবে হারাবে অবস্থা গলাটায় চাপ ধিরে ধিরে বারছে হঠাৎ গাড়িটা কিছুর সাথে ধ্রাম করে বাড়ি খেয়ে থেমে গেলো জামালি চোখদুটো অবশ হয়ে এলো আর কিছু বুঝার ক্ষমতা তার রইলনা আজান এর আওয়াজ টুকু শুধু তার কানে এলো ব্যাস। সময় কত গেছে কে যানে জামালির হুশ ফিরলো ঠক ঠক আওয়াজ এ বামে তকিয়ে দেখল একজন বৃদ্ধ লোক বয়স (৭০) গাড়ীর গ্লাস এ টোকা দিচ্ছে । জামালি বাইরে তাকিয়ে দেখলো সকালের আলো ফুটেছে একবার তার আশেপাশে তাকিয়ে দেখলো কোথাও যেনো তাদের কোন চিহ্নই নেই মোবাইল টা পায়ের নিচথেকে তুলে দেখলো (৬;১১) বাজে । এরপর সে দড়জা খুলে বেরিয়ে এলো বাইরে যে বৃদ্ধ দাড়িয়ে ছিলো তার কাছে এগিয়ে গেলো। সামনে এগিয়ে যেতেই লক্ষ করল তার গাড়ির সামনের অংশ দেবে গেছে কিন্তু বেশি ক্ষতি হয়নি, কিন্তু গুতো টা খেলো কিসের সাথে । বৃদ্ধ লোকটি তার কাছে এগিয়ে এসে বলল।

বৃদ্ধঃ কি হে বাছা ঠিক আছো তো?

জামালিঃ হ্যা কাকু { মাথা টা ধরে একটু বসে পরল জামালি, বৃদ্ধ লোকটি বলে উঠল}

বৃদ্ধঃ দেখে শুনে গাড়ি না চালালে তো এভাবেই কবে প্রান টা দিবে । তা কোথায় যাচ্ছিলে এই ভোর বেলায়?

জামালিঃ হাসপাতাল । { কথাটা বলে জামালি গাড়ির ভিতর থেকে পানির বোতল টা বের করে হাতে মুখে পানি দিয়ে কুল্কুচি করে পানিটা ফেলতে যাবে এমন সময় তার চোখে পরে একটা ছোট পিলার এর মতো কিছু একটা গাড়া জেটার সাথে তার গাড়ি আটকেছে। জামালি বৃদ্ধ কে জিজ্ঞ্যাসা করে }

জামালিঃ কাকু এই রোডের ধারে এভাবে এটা কি পুতে রেখেছে?

বৃদ্ধঃ ও ওটা আর বলোনা কয়েক মাস আগে আমাদের গ্রাম এ একটা দুর্ঘটনা হয় এক বাড়িতে আগুন লেগে মা মেয়ে দুজোন মারা যায় তাদের ত কিছুই ছিলোনা তো গ্রাম এর সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের এইখানেই দাফন করা হয়।

জামালিঃ আপনি ওই গ্রাম এই থাকেন বুঝি । {লোকটি ইশারায় সম্মতি জানালো}

[দৃশ্যঃ কিছুক্ষন অই কবর গুলোর দিকে তাকিয়ে থাকার পর জামালি শুনতে পেলো গাড়ির ভিতর তার ফোন বাজছে সে দৌড়ে গিয়ে ফোনটা ধরল]

ফারেসিঃ হ্যালো জামালি কিরে কই তুই সব ঠিক আছে তো সারা রাত আর তোর ফোনে ফোন ই ঢুকছিলো না ।

জামালিঃ একটূ সমস্যার মদ্ধ্যে পড়েছিলাম রে অইখানে পৌঁছে সব বলব তোর ভাবির কি অবস্থা।

ফারেসিঃ এখানে সব ঠিক ঠাক আছে তারাতারি চলে আয় আমরা সবাই ওয়েট করছি ।

[দৃশ্যঃ জামালি ফোন টা পকেট এ রেখে পিছোনে ঘুরে দারাতেই দেখে বৃদ্ধ লোকটি নেই জামালি কিছুক্ষন এদিক এ ওদিক এ তাকিয়ে কাওকে দেখতে পেলোনা। তারপর সে গাড়িতে উঠে আবার রউনা হলো হাসপাতাল এর উদ্দেশ্যে । হাসপাতাল এ পৌঁছে সে দেখতে পেলো ফারেসি সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে তারপর ফারেসি তাকে ইশারা করে জানিয়ে দিলো কোন রুম এ আছে সেখানে ঢুকে সে দেখলো তার বাবা মা দুপাশে বসে আছে আর তার স্ত্রির কোলে তার মেয়ে। সে এগিয়ে যেতেই তার মা তার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকল তারপর তার হাত ধরে টেনে বসালো তার স্ত্রী আস্তে করে মেয়েকে এগিয়ে ধরলো জামালির দিকে মেয়েটির মুখ দেখতেই দুচোখ বেয়ে পানির ফোটা নেমে এলো। সেদিন এর ঘটনা টা তার চোখের সামনে স্পষ্ট ভেসে উঠল অইদিন দুপুরে মাসুদ নামের একজন এসেছিলো তাদের কাছে কিছু টাকা ঋণ নেয়ার জন্য কিন্তু জামালিদের কম্পানির নিয়ম মানতে গেলে তাকে ঋণ দেয়া জাবেনা লোকটির আকুতি মিনতি চিৎকার এখনও জামালির কানে বাজছে । জামালির স্ত্রী আস্তে করে বাচ্চাটাকে জামালির হাতে তুলে দিলো জামালি বাচ্চাটির মুখের দিকে তাকিয়ে আছে একভাবে।

Za EndO